ড্রাগন ফল কি সত্যিই উপকারী ফল

 

বর্তমান সময়ের খুবই জনপ্রিয় ও সুস্বাদু একটি ফল ড্রাগন এর বৈজ্ঞানিক নাম  Hylocereus undatusবিশেষজ্ঞদের মতে ভালো ও সুস্থ থাকতে চাইলে আমাদের দৈনিক খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফল রাখা উচিত। তাই যারা সুস্থ থাকার জন্য ড্রাগন ফল খেতে চান বা খেতে পছন্দ করেন কিন্তু এই ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে একদমই কিছু জানেন না তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি ঠিক তাদের জন্যই।  কেননা আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের জানাবো  ড্রাগন ফলের খুঁটিনাটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

dragon fruits

নিচে আমি আপনাদের ড্রাগন ফলে বিভিন্ন বিষয় ধাপে ধাপে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। তাই দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

যেসব দেশে ড্রাগন ফল পাওয়া যায়:

ড্রাগন দক্ষিণ আমেরিকার একটি প্রসিদ্ধ ফল। এটি এক ধরনের ফনিমনসা বা ক্যাকটাস প্রজাতির ফল। ড্রাগন মেক্সিকো,মধ্য আমেরিকায়  প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।তবে চীন,ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারতসহ আরো বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশেও এই ফলের চাষ শুরু হয়েছে এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

আরো পড়ুনঃ পেঁয়াজের রসের উপকারিতা 

বিভিন্ন ধরনের ড্রাগন ফল :

ড্রাগন ফল মূলত চার ধরনের হয়ে থাকে। এর ভেতরের অংশ কোনটা লাল, কোনটা সাদা আবার কোনোটা হলুদ ও বেগুনি রংয়ের হয়ে থাকে। তবে ভেতরের অংশ লাল ও সাদা রংয়ের ড্রাগন বেশি দেখা যায়। সব ধরনের ড্রাগনের বীজ একই রকম, যা দেখতে কালোজিরার মত ছোট ছোট ও নরম। 

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ বা উপকারিতা:

ড্রাগন ফল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর পুষ্টিগুণ প্রচুর। ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফল থেকে প্রায় ৩ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায়। এই ফল ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায়, পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।

ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ড্রাগন ফল উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য হওয়ায় হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

 ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যা নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও রয়েছে এই ফলের কার্যকরী গুন।তাছাড়া শরীরের আয়রনের মাত্রা  বৃদ্ধিও করে ড্রাগন ফল।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ড্রাগন খুবই উপকারী একটি ফল। এটা খেলে শরীরের ব্লাড সুগার লেভেল কন্ট্রোলে থাকে। ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে মোট চিনি থাকে ৯.৭৫ গ্রাম। ড্রাগন ফলে জিআই কম থাকায় এর চিনি রক্তে শর্করাকে উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রভাবিত করে না।তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নির্দ্বিধায় এই ফলটি খেতে পারবে।ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ জানার পর আমাদের দৈনিক খাদতালিকায় অবশ্যই এই ফলটি রাখা উচিত। 

ড্রাগন ফলে সাইড এফেক্ট :

বিশেষজ্ঞদের মতে, ড্রাগন ফলের  তেমন কোনো সাইড এফেক্ট নেই বললেই চলে। তবে এই ফলটি ফাইবার যুক্ত হওয়ায় কেউ বেশি পরিমাণ খেলে তার ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ দাঁত সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য

রূপ চর্চায় ড্রাগন ফলঃ

রূপ চর্চাতেও রয়েছে ড্রাগন ফলের জুড়ি মেলা ভার। এর খোসার আঁশ ত্বকে মাখলে ব্রণের সমস্যা দুর হয় এবং ত্বক হয়ে ওঠে মোলায়েম।রূ খোসার রস আমাদের বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।

প্রিয় পাঠক আশাকরি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ড্রাগন ফল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছেন যা আপনাদের অবশ্যই উপকারে আসবে। তাই এই ধরনের তথ্য বহুল আরো পোষ্ট পেতে আমাদের ওয়েব সাইটটি ফলো করবেন, ধন্যবাদ।

 লেখকঃ প্রিয়াংকা কুণ্ডু

 

 

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url