শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি - শুক্রাণু তৈরি হয় কিভাবে

আপনি কি শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি হয় তা জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলে আমি শুক্রাণু কি, শুক্রাণু কোথায় তৈরি হয় এবং শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি অর্থাৎ শুক্রাণু সম্পর্কে খুঁটিনাটি সকল তথ্য আপনাদের মাঝে আলোচনা করবো। তাই শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি সে বিষয়ে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
 
শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি
 
নিচে আমি আপনাদের জন্য শুক্রাণু কি, শুক্রাণু কোথায় তৈরি হয় এবং শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি হয় এসব বিষয়গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করেছি। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি এ বিষয়টি জেনে নিতে পারবেন। তাহলে দেরি না করে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন এবং শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি জেনে নিন।

শুক্রাণু কি

শুক্রাণু হচ্ছে এক ধরনের পুংজননকোষ বা গ্যামেট যা যৌন জননের অ্যানাইসোগ্যামি আকারে দেখা যায়। অর্থাৎ শুক্রাণু বলতে জীবের পুংজননকোষকে বোঝায়। শুক্রাণু হচ্ছে প্রকৃত জনন কোষ। শুক্রাণু হচ্ছে এক ধরনের বীর্যের সেলুলার উপাদান।শুক্রাণু হচ্ছে একধরণের পুরুষ জনন কোষ।

শুক্রাণু কোথায় তৈরি হয়

শুক্রাণু, নামটি অবশ্যই শুনেছেন কিন্তু আপনি কি জানেন শুক্রাণু কোথায় তৈরি হয়? যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই সেকশনটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন কেননা আমি এখন আপনাকে শুক্রাণু কোথায় তৈরি হয় সে সম্পর্কে জানাবো। শুক্রাণু কোথায় তৈরি হয় জেনে নিন।
 
 
শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়াকে বলা হয় স্পার্মাটোজেনেসিস। শুক্রাণু তৈরি হয় পুরুষের জননাঙ্গে অর্থাৎ শুক্রাশায়ে স্পার্মাটোজেনেসিস প্রক্রিয়ায়।স্পার্মাটোজেনেসিস প্রক্রিয়ায় পুরুষের জননাঙ্গে শুক্রাণু তৈরি হয়। শুধু জীবের শুক্রাণু থাকে তা নয় উদ্ভিদের ও শুক্রাণু থাকে। উদ্ভিদের পরাগরেণু তে শুক্রাণু থাকে বা তৈরি হয়।

শুক্রাণু তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে

পুরুষের শরীরে বীর্য উৎপাদন হচ্ছে একটি নিরবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। অর্থাৎ একটি চক্রাকারে সব সময় পুরুষের দেহে বীর্য উৎপাদন হতেই থাকে। বীর্য উৎপাদন পরিপূর্ণ হলে কোনো না কোনো মাধ্যমে সেটি বের হয়ে আবার নতুন করে উৎপাদন হতে থাকে। এই বীর্যে প্রচুর পরিমানে শুক্রাণু থাকে। এই শুক্রাণু একটি চক্রাকারে উৎপাদন হতে থাকে। এই চক্রাকারে একটি চক্র সম্পূর্ণ হতে প্রায় ৭২ দিন সময় লাগে।
 
 
আশা করি এই সেকশনটি পাঠ করে আপনি শুক্রাণু তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে সে সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের মধ্যে দেখা যায় একটি কৌতূহল সবসময় কাজ করে সেটি হচ্ছে শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি হয়। তাই শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি হয় এই কৌতুহলী দূর করুন নিচের অংশ পাঠ করে।

শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি হয়

যেসব শুক্রাণু স্তন্যপায়ী সেসব শুক্রাণুর কোষ কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। তার মধ্যে একটি হলো মস্তক বা মাথা। শুক্রাণুর সামনের উপবৃত্তাকার অংশকে বলা হয় মাথা বা মস্তক। দ্বিতীয় অংশটি লেজ। এটি শুক্রাণুর দীর্ঘতম অংশ। এই লেজ শুক্রাণুর চলাচলে এবং ডিম্বাশয় পৌঁছাতে সাহায্য করে। শুক্রাণু মূলত এই দুইটি অংশ দিয়ে তৈরি হয়।

শুক্রাণু তৈরি হয় কিভাবে

শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি হয় তা জানলেন। এবার আপনাদের শুক্রাণু তৈরি হয় কিভাবে সে সম্পর্কে জানাতে চলেছি। পুরুষের যৌনাঙ্গ দিয়ে যে বীর্যপাত হয় তাতে রয়েছে অসংখ্য শুক্রাণু।এই শুক্রাণুই সন্তান উৎপাদনের হাতিয়ার।এই শুক্রাণু তৈরি হয় কিভাবে এখন আপনারা সে সম্পর্কে জানবেন।

জার্মিনাল এপিথেলিয়াম নিউসেলাস কোষ অবস্থিত হচ্ছে অন্ডথলির পেঁচানো সেমিনিফেরাস জালিকায়। আর এই কোষ থেকে উৎপাদন বা তৈরি হয় শুক্রাণু।জার্মিনাল এপিথেলিয়াম নিউসেলাস কোষ মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজন হয় এবং একটি কোষ থেকে ৪ টি শুক্রাণু তৈরি করে। এই শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় স্পার্মাটোজেনেসিস।

কি খেলে শুক্রাণু বাড়ে

পুরুষের শরীরে শুক্রাণু প্রাকৃতিক নিয়মেই তৈরি হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে শুক্রাণু কমে যায় বা শুক্রাণুর বিলুপ্ত ঘটতে পারে। হতে পারে অসুস্থতার কারণে বা নিজের বদভ্যাসের কারণে। অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে শুক্রাণু সংখ্যা কমে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কি খেলে শুক্রানু বাড়ে অবশ্যই তা জানা উচিত।
 
 
শুক্রাণু বৃদ্ধির জন্য আপনি রসুন খেতে পারেন। শুক্রাণু বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রসুনের গুরুত্ব অপরিসীম। রসুনের নিচে ভিটামিন বি ও সেলেনিয়াম। এ উপাদানগুলো শুক্রানু বৃদ্ধি বা শুক্রাণুর কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও শুক্রাণু বৃদ্ধিতে যে খাবারগুলো খাবেন তা হচ্ছে টমেটো , ওয়ালনাট , কুমড়া বীজ ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার।

শুক্রাণু তৈরির উপায়

পুরুষের শরীরে শুক্রাণু হচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। এই শুক্রাণু ব্যতীত একটি পুরুষ সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম। তাই আপনার শরীরে(জননাঙ্গে) অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমানে শুক্রাণু থাকতে হবে। শুক্রাণু তৈরির উপায় হিসেবে শুক্রাণুর কার্যকারিতা বৃদ্ধির উপায় হিসেবে আপনি প্রতিদিন সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন। এছাড়াও শুক্রাণু তৈরির উপায় হিসেবে আপনি রসুন খেতে পারেন কেননা রোশনের রয়েছে ভিটামিন বি ও সেলেনিয়াম যা আপনার শুক্রাণুকে কার্যকারী করে তুলবে।

প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে পড়েছেন এবং শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। শুধু শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি তা নয় বরং শুক্রাণু কি, শুক্রাণু কোথায় তৈরি হয় এবং শুক্রাণু তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। আশা করি এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল আর্টিকেল বেশি বেশি দেখতে ও পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, ধন্যবাদ।21021.

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url